হোম » প্রধান সংবাদ » প্রতিষ্ঠার ২১ বছরে ১ সমাবর্তন পেয়েছে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

প্রতিষ্ঠার ২১ বছরে ১ সমাবর্তন পেয়েছে হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

আজিজুর রহমান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ কালো গাউন ও মূল সনদপত্রের অধরা স্বপ্ন বুকে নিয়ে প্রতি বছর বিদায় নেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ২১ বছরে শিক্ষার্থীরা পেয়েছেন মাত্র ১টি সমাবর্তন।গত ১১ বছর ধরে সমাবর্তন আয়োজন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতা, উদাসীনতা, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও যথাযথ উদ্যোগের অভাবে
সমাবর্তন হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট দপ্তর সূত্রে জানা যায়,২০১০ সালের ৯ই ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন আয়োজন করেন তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আফজাল হোসেন।প্রথম সমাবর্তনে গ্র্যাজুয়েটদের হাতে সনদ তুলে দেন মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রেরিত প্রতিনিধি তৎকালীন শিক্ষমন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।  এতে ২০০৩ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করা ৯ জন পিএইচডি, ৭৯ জন মাস্টার্স এবং ৭৩০ জনকে ব্যাচেলর ডিগ্রির সনদ প্রদান করা হয়।এরপর দীর্ঘ এক যুগে কোনো সমাবর্তন পাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।  এদিকে ১ম সমাবর্তনের পর ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষ হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১০ টি
ব্যাচ স্নাতক পাস করে বেরিয়ে গেছে। এসব ব্যাচে এখন সমাবর্তন পাওয়ার যোগ্য প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী। দিন যত গড়াচ্ছে ততই শিক্ষার্থী সংখ্যা বেড়ে চলায় সমাবর্তন আয়োজন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে। গত ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৫৩তম সভায় সকলের মতামতের ভিত্তিতে ২০২০ সালের নভেম্বর/ডিসেম্বর মাসে ২য় সমাবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।তবে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনপ্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। সাবেক শিক্ষার্থীরা জানান, দায়িত্ব পালন করা উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার
অভাবেই মূলত সমাবর্তন আয়োজনে দীর্ঘসূত্রতা। এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ বলেন, একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে আচার্যের হাতে মূল সনদপত্র নিয়ে বের হওয়া। কিন্তু আমাদের সাময়িক সনদপত্র নিয়ে বের হতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত সমাবর্তন হওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসন তা করতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার অভাবে আমরা আমাদের প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছি না।  এব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন দায়িত্ব প্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড বিধান চন্দ্র হালদার জানান, আমি রুটিন
দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য। সীমাবদ্ধতার মধ্যদিয়ে কাজ করতে হয়। রিজেন্ট বোর্ড,এমনকি একাডেমিক কাউন্সিলও ডাকতে পারি না। যে স্থায়ী উপাচার্য নিযুক্ত হবেন তিনি এব্যাপারে বলতে পারবেন। এবিষয়ে তিনি আরও বলেন, সাবেক উপাচার্য স্যার গত বছরের নভেম্বর/ডিসেম্বরে ২য় সমাবর্তন আয়োজন করার একটি পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য তা সম্ভব হয়নি।
error: Content is protected !!