হোম » শহর-নগর » নাগরপুরে করোনার মধ্যেও থেমে নেই মাটি খেকোদের দৌরাত্ব

নাগরপুরে করোনার মধ্যেও থেমে নেই মাটি খেকোদের দৌরাত্ব

নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: সারা দেশ জুড়ে চলছে করোনা মহামারি। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার লকডাউন সহ বিভিন্ন ভাবে দেশের মানুষকে বাঁচানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরি মাঝে মরিয়া হয়ে উঠেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ধুবড়িয়ার কাঁচপাই মৌজার মাটি খেকো ইয়ারোফ। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বছর জুড়ে নিজ আধিপাত্য খাটিয়ে একক ভাবে করে যাচ্ছে মাটির ব্যবসা। ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ধ্বংস করে যাচ্ছে ফসলি জমি। সেই সাথে মাটি আনা নেয়ার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ টুলিট্রক্টর। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে এলাকার

রাস্তা ঘাটের। এলাকবাসী অভিযোগ করে বলেন, ইয়ারোফ এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ার কারনে আমরা কিছু বলতে পারি না। সে সারা বছর ধরেই এভাবে মাটি কাটে। আমরা অনেক বার নিষেধ করলেও কোন লাভ হয়নি। আমাদের চলাচলের কাঁচা রাস্তা গুলি শেষ করে দিচ্ছে। ভেকু দিয়ে ফসলি জমির মাটি এমন ভাবে কাটে পাশের জমি ভেঙ্গে পড়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, আমার জমির পাশের জমিতে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ফুট গভীর করে ভেকু দিয়ে এমন ভাবে মাটি কাটছে বর্ষার আগেই আমার জমি ভেঙ্গে যাচ্ছে। আমি আবাদ করতে না পারলে

আমার পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। আমার তো ক্ষমতার জোড় নাই তাই কার কাছে বলুম। এখন আপনাদের দ্বারা যদি আমার কোন উপকার হয়। সরেজমিনে গিয়ে পাওয়া যায় কথার সত্যতা। ধুবড়িয়া ইউনিয়নের কাঁচপাই মৌজায় বিশাল আবাদি চকের মাঝে যেন মাটির খনি পেয়েছে ইয়ারোফ। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলতে পারে না। আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে একের পর এক ধ্বংস করে যাচ্ছে ফসলি জমি সহ চলাচলের

রাস্তা ঘাট। এলকাবাসী এই মাটি খেকোর হাত থেকে ফসলি জমি সহ রাস্তা ঘাট রক্ষা করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে জানার জন্য ইয়ারোফের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত-ই-জাহান জানান, তদন্ত করে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

error: Content is protected !!