হোম » প্রধান সংবাদ » ধর্মপাশায় হেফাজতের সহায়তায় ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা বহিস্কার

ধর্মপাশায় হেফাজতের সহায়তায় ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলার ঘটনায় আওয়ামীলীগ নেতা বহিস্কার

আল-হেলাল,সুনামগঞ্জ থেকে : সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নে হেফাজতের সহায়তায়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আফজাল খাঁনের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম আলম কে বহিস্কার করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সুনামগঞ্জ ১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন

ও সাধারন সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিছ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উক্ত বহিস্কারাদেশ ঘোষিত হয়। অভিযোগে প্রকাশ,গত ২৯ শে মার্চ ছাত্রলীগ নেতা আফজাল খাঁন (অভুধষ কযধহ নামে তার নিজস্ব ফেইসবুক আইডি থেকে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের কয়েকটি ছবি ও ধর্মের নামে ব্যাবসা) এতটুকু লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে রাসুল (সাঃ) ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছে বলে

প্রচার শুরু করে জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম আলম এর ছেলে হেফাজত কর্মী আল মুজাহিদ ও হেফাজতের কর্মীরা। ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার অনুমান সাড়ে ৫ টার দিকে হেফাজত কর্মী আল মুজাহিদের আহবানে সাড়া দিয়ে জয়শ্রী বাজারে হেফাজত সমর্থক কয়েকশত মানুষ এসে হাজির হয়ে ছাত্রলীগ নেতা আফজাল খাঁনের উপর হামলা চালায় এবং তাকে জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ

করে রাখে। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে পুলিশ উদ্ধার করে। জানা যায়,সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের চাচা জয়শ্রী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম আলম এর ছেলে হেফাজত কর্মী আল মুজাহিদ। তারা জামাত-বিএনপি’র লোক ছিল। মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এমপি হওয়ার পর এমপির আত্মীয় হিসাবে তাকেআওয়ামী লীগের পদটি দেয়া হয়। ছেলের হামলার ঘটনাটি অস্বীকার করে আবুল

হাশেম বলেন,আমি লোকজনের মুখে শুনেছি আফজাল খাঁন ফেইসবুকে রাসুল (সাঃ) ও ইসলাম ধর্ম কে নিয়ে কটুক্তি করেছে তাই সাধারণ মুসলমান তাকে হামলার চেষ্টা করেছে পরে তাকে আম জনতার কাছে ক্ষমা চাওয়ার পর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আফজাল খাঁন বলেন,হেফাজতের কর্মী আল মুজাহিদ হামলার পাশাপাশি, তার পিতা আবুল হাশেম আলম ও উপজেলা যুবলীগ নেতা এনায়েত হোসেন আমাকে উৎসুক জনতার কাছে জোর করে মাফ চাওয়ায়, যেটা আমার জন্য সম্মানহানিকর।

error: Content is protected !!