হোম » প্রধান সংবাদ » সিরাজগঞ্জে হাসপাতাল থেকে আবারও শিশু চুরি!

সিরাজগঞ্জে হাসপাতাল থেকে আবারও শিশু চুরি!

হুমায়ুন কবির সুমন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : ‘সামিউল, আব্দুল মাজেদ ও সাবিতা খাতুন দম্পতির প্রথম সন্তান।

সিজারের পর শিশু ওয়ার্ডে রাখা হয় মা ও নবজাতককে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় বিকেলে পরিবারের

সদস্যদের অনুপস্থিতিতে ওই শিশুকে নিয়ে সটকে পড়েন এক নারী। ছবি দেখে তাকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে এবার নবজাতক চুরির অভিযোগ

উঠেছে।

শনিবার বিকেলে সোয়া চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেন সালঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল

কাদের জিলানী। তিনি বলেন, ‘প্রসববেদনা নিয়ে সকাল আটটার দিকে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ গ্রামের সাবিতা

খাতুন হাসপাতালে ভর্তি হন। বেলা ১১টার দিকে সিজারের মাধ্যমে ছেলে সন্তান জন্ম দেন তিনি। নবজাতকের নাম

রাখা হয় সামিউল।

‘সামিউল, আব্দুল মাজেদ ও সাবিতা খাতুন দম্পতির প্রথম সন্তান। সিজারের পর শিশু ওয়ার্ডে রাখা হয় মা ও

নবজাতককে। সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় বিকেলে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে ওই শিশুকে নিয়ে সটকে

পড়েন এক নারী। ছবি দেখে তাকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এর চার দিন আগে সিরাজগঞ্জে ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ

ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে ২৩ দিনের শিশু মাহিম চুরি হয়। ওই শিশুকে শনিবার সন্ধ্যায় এই

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

শনিবার বিকেল চারটার দিকে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী বলেন,

‘আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। চারটি টিম মাঠে রয়েছে। শিশুটির সন্ধানে প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হচ্ছে। কাজ করছেন

র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরাও। সন্তান নিখোঁজের পর শিশুর মা মঞ্জুয়ারা বেগম বলেন, ‘ঠান্ডাজনিত কারণে

ছয় দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হই। আজকে কাপড় ধোয়ার জন্য বাইরে যাই। পরে এসে দেখি আমার ছেলে মাহিম

নেই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পাওয়া যায়নি।

হাসপাতালের ক্লোজড সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, বোরকা পরা দুই নারী

শিশুটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু হিজাবে মুখ ঢাকা থাকায় এবং সিসিটিভির ফুটেজ

স্পষ্ট না হওয়ায় তাদের চেহারা বোঝা যাচ্ছে না। ঘটনার দিন রাতেই শিশুটির বাবা চয়ন ইসলাম পাঁচ অজ্ঞাতপরিচয়

ব্যক্তির বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

error: Content is protected !!