হোম » প্রধান সংবাদ » নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার  বিপ্রবেলঘুড়িয়া ইউনিয়নের নৌকার মাঝি হতে চান গাজী সরদার 

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার  বিপ্রবেলঘুড়িয়া ইউনিয়নের নৌকার মাঝি হতে চান গাজী সরদার 

মোস্তাফিজুর, নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ  আসন্ন ইউপি নির্বাচন’কে সামনে রেখে নিজের অবস্থান জানান দিতে এবং মজবুত করতে মাঠে নেমেছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা এবং জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। থেমে নেই নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ৫ নং বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা।
 নলডাঙ্গা উপজেলার ৫ নং বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জনাব মোঃ গাজী সরদার ঘুরে বেরাচ্ছেন ভোটারদের দাড়ে দাড়ে এবং চালিয়ে যাচ্ছেন তার নির্বাচনী প্রচারণা। বিভিন্ন জায়গায় গণসংযোগ, যুবকদের নানান ক্রীড়া সামগ্রী বিতরন এবং সার্বিকভাবে সার্বক্ষণিক তিনি মানুষের পাশে রয়েছেন।
উল্লেখ্য বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়নের ত্রিমনী গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী সরদারের ছেলে গাজী সরদার নলডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সংগ্রামী সহ-সভাপতি এবং ১৯৯৪ সালে বিপ্রবেলঘড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ছিলেন । তিনি ছাত্র জীবন থেকেই গড়ে তুলেছেন তার রাজনৈতিক জীবন, কিন্তু তার রাজনৈতিক জীবন সুখকর ছিলো না। বিরোধীদলীয় মামলায় জেল খানায় জীবন কাটিয়েছে একাধিক বার। যার মধ্য উল্লেখযোগ্য মিথ্যা মামলা ১৯৯৭ সালের জাহিদ হাসান মুকুল হত্যা মামলা, উক্ত মাললায় ষড়যন্ত্র মুলক ভাবে তাকে আসামি করা হয় ১৯৯৯ সালে যখন জেলা কোটায় এস আই পদে তার চাকরি সুনিশ্চিত ছিলো।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় দলীয় মামলায় জেলে থেকেছেন ১ মাস ২ দিন। এ জন্য তার আর এস আই হয়ে উঠা হয়নি। ২০০১ সালে জাতীয় নির্বাচনে আ.লীগের পরাজয় হয়ায় গাজী সরদারের জীবনের দাম ১০ লক্ষ্য টাকা ঘোষণা করেন সাবেক ভূমি উপ-প্রতিমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু এ খবর শুনে তিনি জীবনের মায়ায় ৮ মাস লুকিয়ে থাকেন এবং ২০০২ সালে কুয়েতে চলে যান। এবং কুয়েত থেকে ২০০৫ সালে দেশে ফিরে শুনেন ২০০৪ সালে মুকুল হত্যা মামলার রায়ে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এজন্য দেশে ফিরলেও জন্মভূমি নাটোরে তার ফেরা হয়নি। ততকালীন সময়ে কুয়েতের ভিসা বন্ধ থাকার জন্য তাকে ৯ মাস টাংগাইলে লুকিয়ে থেকে জীবনযাপন করতে হয়েছে। ভিসা চালু হয়ার পরে তিনি আবারো কুয়েতে চলে যায়। ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর আবার দেশে ফিরে আসেন এবং ২০১২ সালে উক্ত মামলায় র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হন। ১ বছর ২৫ দিন জেল খানায় থাকার পর হাইকোর্ট হতে মুক্তি পেয়ে হাল ধরেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের। জেলে থাকা অবস্থায় তার পিতা মারা যায় কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত তিনি তার পিতাকে শেষ দেখাও দেখতে পাননি। সর্বশেষ ২০১৪ তে নলডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
গাজী সরদার এরি মধ্যে ৫ নং বিপ্রবেলঘুড়িয়ার প্রত্যেক ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে  গনসংযোগ চলাচ্ছেন। ভোটারদের দোয়া ও আর্শিবাদ নিচ্ছেন।  তিনি বলেন   সকল ধর্মের মানুষের মতামত ও ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন মানুষ দলমত  নির্বিশেষ আমাকে সমর্থ করছে জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি নৌকার মাঝি হিসাবে অত্র ইউনিয়নের দায়িত্ব দেন আমি মাথা পেতে নিয়ে জনগণের সেবায় নিজেকে নিযোজিত রাখবো।
error: Content is protected !!