মোঃ হানিফ, সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে কৃষ্ণা সাহা (১৯) নামে এক গৃহবধুকে পারিবারিক কলহের জের ধরে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যা করেছে স্বামী ও পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত ৮টার দিকে পৌর এলাকার নাওতোলা গ্রামে। এ ঘটনায় থানা পুলিশ স্বামী- সমর দাসসহ ৬ জনকে রবিবার দিবাগত রাত্রে অভিযান চালিয়ে আটক করে।
সোনাইমুড়ী থানার তদন্ত ওসি জিসান আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানান, পৌর এলাকার নাওতোলা গ্রামের বাসিন্দা সমর দাস র্দীঘ ৮ মাস পূর্বে কৃষ্ণা সাহা নামে এক কিশোরীকে বিবাহ করে। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ লেগেই আছে। রবিবার দিবাগত রাত ৮টার দিকে এরই সূত্রে ধরে স্বামী সমর দাস ও পরিবারে অন্যান্য লোক জন গৃহবধুকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো চুরি দিয়ে আঘাত করে গুরত্বর আহত অবস্থায় গৃহবধুর স্বামী তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
পরে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরুতহাল রিপোর্ট তৈরী করে। সোমবার সকালে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। রাত্রেই এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর দিকে, রবিবার দিবাগত রাত ১০ টার দিকে উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের আতাউর রহমান ভ‚ঁইয়া স্কুল এন্ড কলেজের পাশ থেকে জুবাইদা নামে এক কলেজ ছাত্রীর লাশ দেখতে পায় স্থানীয় জনগণ। পরে লাশটি এলাকাবাসী উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে। সে উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের হাজী দরবেশ বাড়ীর শাহ আলমের মেয়ে।
সে আতাউর রহমান ভ‚ঁইয়া স্কুল এন্ড কলেজের এইচ, এস. সির ১ম বর্ষের ছাত্রী। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানান, ছাত্রী কলেজের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। আবার অনেকেই জানিয়েছেন পূর্ব শত্রুতা, প্রেম গঠিত বিষয়ে কেউ তাকে হত্যা করে কলেজের ছাদ ফেলে দিয়েছে। সোনাইমুড়ী থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এক হিন্দু গৃহবধুকে হত্যার ঘটনায় স্বামী সহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
আরও পড়ুন
আরও ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট, মে’র শুরতে সুখবর
বিরামপুরে নারী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ
অবৈধ মাটি উত্তোলনের দায়ে অভিযুক্তকে লাখ টাকা জরিমানা