হোম » প্রধান সংবাদ » কীটনাশকতায় ঝলসে গেছে ১৬জন কৃষকের স্বপ্ন

কীটনাশকতায় ঝলসে গেছে ১৬জন কৃষকের স্বপ্ন

জাহিদুল হক মিন্টু, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: নওগাঁর পোরশায় দুর্বৃত্তদের দেয়া কীটনাশকে ঝলসে গেছে ১৬ কৃষকের স্বপ্ন। গত মঙ্গলবার কৃষকরা বীজতলায় গিয়ে দেখেন চারাগুলোর ঝলছে গেছে। এতে চারা রোপনে বিলম্বের পাশাপাশি আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানিয়েছেন তারা।জানা গেছে, উপজেলার ঘাটনগর ইউনিয়নের সোমনগর গ্রামের মাঠে ইরি- বোরো চারা রোপনের জন্য দুই একর জমিতে বীজতলা তৈরি করেছিলেন ১৬ চাষী।
যেখানে প্রায় ৩০ মণ ধান দিয়ে বীজতলা তৈরি করা হয়েছিল। কয়েকদিন আগে সুতলী, ধামানপুর, সোমনগর ও দেউপুরা গ্রামের ১৬ কৃষকের বীজতলায় কীটনাশক ছিটিয়ে দেয় দূর্বৃত্তরা।

অনেক জায়গায় চারা পুড়ে ও শুকিয়ে গেছে। বীজতলার এমন অবস্থা দেখে চাষীদের মাথায় হাত। নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে আরও প্রায় একমাস সময় লাগবে। এতে জমিতে চারা রোপন পিছিয়ে পড়বেন বলে জানান।
স্থানীয় কয়েকজন কৃষক বলেন, বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করায় চারাগুলো ঝলসে গেছে। এগুলো রোপন করা আর সম্ভব হবে না। এতে জমির মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। ক্ষতিগ্রস্ত চাষী আব্দুল মালেক শাহ্ধসঢ়; বলেন, ১২ মণ ধান দিয়ে বীজতলা তৈরি করেছিলাম। যা দিয়ে প্রায় ৫০ বিঘা জমি রোপণের কথা ছিল। কয়েকদিন আগেও চারাগুলো সতেজ ছিল। কিন্তু দূর্বত্তরা বিষাক্ত কীটনাশক ছিটিয়ে সেগুলো নষ্ট করেছে।

 

এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত চাষী মনিব-আল-রাজি মুন্নু, আনারুল সোনার, মজিদ সোনার ও ধীরু উরাও বলেন, ইরি-বোরো ধানের চারা রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করা হচ্ছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে জমিতে চারা রোপন করা হবে। কিন্তু দূর্বৃত্তরা কীটনাশক দিয়ে চারা নষ্ট করায় প্রায় দুইশ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপন করতে পারবেন না। ফলে কয়েক লাখ টাকা ক্ষতির শিকার হবেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহফুজ আলম বলেন, দুই একর জমির চারা দিয়ে প্রায় দেড়শ বিঘা বা ২০ হেক্টর জমি রোপন করা সম্ভব।

 

ওই ২০ হেক্টর জমিতে ধান রোপন করা না হলে লক্ষ্যমাত্রা সামান্য ব্যাহত হতে পারে। তবে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চারা রোপনের সুযোগ রয়েছে। পোরশা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিউল আজম খাঁন বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

error: Content is protected !!