হোম » প্রধান সংবাদ » সিরাজগঞ্জে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত, তদন্ত শুরু

সিরাজগঞ্জে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত, তদন্ত শুরু

হুমায়ুন কবির সুমন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী হৈমবালা স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সোমবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্ত করছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২১ নভেম্বর ২০ইং তারিখে দাখিলকৃত অভ্যান্তরীন অডিট কমিটির নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০৯ সাল থেকে ২১ অক্টোবর ২০ইং তারিখ পর্যন্ত উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, সিরাজগঞ্জ শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব নং-৪১১৯১১১০০১১৫১৩ এর মাধ্যমে এককভাবে হিসাব পরিচালনা করে আসছেন প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন খান।

কিন্তু উক্ত হিসাবটি যৌথভাবে পরিচালনার জন্য বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির ৬ জানুয়ারী ১০ ও ১১ ফেব্রুয়ারী ১৯ ইং তারিখে অধিবেশন নং ১ সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও উক্ত সিদ্ধান্তের কপি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নিকট উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে দাখিল করেন নাই। এবং উক্ত হিসাব থেকে উত্তোলনকৃত নিজ ইচ্ছানুযায়ী এককভাবে অর্থ আত্মসাত করেছে। যাহা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড মোতাবেক সম্পুর্ণ বিধি বহিঃভুত।

অভিযোগে আরও জানা যায়, ৫ হাজার টাকার অধিক নগদ টাকা আপনার নিকট রাখার বিধান না থাকা সত্বেও প্রধান শিক্ষক ধাবাহিকভাবে ব্যক্তিগত ভাড়া, স্টাফ কোয়ার্টার ভাড়া ২০১৭-১৯ সাল পর্যন্ত জেএসসি ও এসএসসি (অনিয়মিত) শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ফরম ফিলাপের নামে অর্থ গ্রহন করে বিদ্যালয়ের তহবিলে জমা না করে আত্মসাত করেন। বিদ্যালয়ের হলরুম ভাড়া ও নিজ নামে অতিরিক্ত বাসা ভাড়া গ্রহন বাবদ ১৩ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮৩৫ টাকা টাকা আত্মসাত করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্তে গত ১৭-১২-২০২০ ইং তারিখে প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এসকল অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে তদন্ত করছেন।

সকল অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন খান বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমি কোন টাকা আত্মসাত করি নাই। চক্রান্ত করে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। হৈমবালা স্কুলের ম্যানেজিং কমিরি সভাপতি সুলতান মাহমুদ বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অডিট করে তাকে বার বার নোটিশ করা হলেও প্রধান শিক্ষক নোটিশের স্বদত্তর দিতে পারেনি। বিধায় পরিচালনা কমিটি প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষা অফিস তদন্ত করছে। সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এলিজা পারভিন বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা আমাকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান।

error: Content is protected !!