কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ১৭ জুলাই বুধবার গাইবান্ধায় আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশ ও ছাত্রলীগের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, মেয়র মোঃ মতলুবর রহমান, কাউন্সিলর কামাল হোসেন ও আন্দোলনকারীসহ অন্তত ৩০/৩৫ জন আহত হয়েছেন।
দুপুর ১টার দিকে অগ্নি সংযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বেলা ১১টায় কয়েক হাজার সাধারণ শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের বড় মসজিদ থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ডিবি রোডের এসপি অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে। মিছিলটি আবারো বড় মসজিদ থেকে ঘুরে ১নং রেলগেটে এসে বিক্ষোভ করতে থাকে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার, হাতে লেখা পোস্টার নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন এবং রেল পথসহ শহরের সব ধরণের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
এক পর্যায়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে প্রথমে ভাঙচুর শুরু করেন তারা। পরে জেলা আওয়ামী লীগের অফিস চত্বরে থাকা ১১টি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে হামলা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
পরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পাল্টা হামলা চালিয়ে অফিস ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর ফলে ঐ সময় শহরের দোকানপাট ও যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।
-শাহজাহান সিরাজ-
আরও পড়ুন
ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রিয় সমম্বয়কদের সাথে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন সহ সুশীল সমাজের মতবিনিময়
ইউনুছ হালিমা দাখিল মাদ্রাসার আয়োজনে ঈদে মিলাদুন- নবী উদযাপন
ফুলবাড়ীতে বালু ভর্তি ট্রাক্টর থেকে ৩০০ বোতল ফেন্সিডিলসহ ২ মাদক কারবাররি আটক