এইচ এম রুহুল কাদের,চকরিয়া: চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী সিকদার পাড়ায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে আইনজীবি ও শিক্ষক পরিবারের উপর হামলা, তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী একই পরিবারের কুতুবউদ্দিন, বদরুরনাহার কলি ও আবরার মিলহানকে গ্রেফতার করেছে চকরিয়া থানা পুলিশ।
থানার উপপরিদর্শক রাজীব চন্দ্র সরকারের নেতৃত্বে এএসআই পার্ভেজ, এএসআই বিকাশসহ পুলিশের বিশেষ টীম গত ১৪ই এপ্রিল রাতে এ অভিযান চালায়। রবিবার আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানাগেছে থানা সূত্রে ।
প্রতিবেদনটি মোট পড়া হয়েছে: ৩৫
Continue Reading Previous পঞ্চগড় থেকে : আল মাহমুদ দোলন মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয়,পহেলা বৈশাখ। ১৪৩১নববর্ষ বরণে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দুই দিন ব্যাপি নানা কর্মসুচি গ্রহন করা হয়েছে। পহেলা বৈশাখ। বাংলা বর্ষ ১৪৩১। বাংলার চিরায়ত উৎসব। চৈত্র মাসের শেষ দিন চৈত্র সংক্রান্তি। জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’—এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বোদার বাঙালিরা। পহেলা বৈশাখ সকল সঙ্কীর্ণতা, কুপমণ্ডুকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে।বাঙালির মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, বর্ষবরণের মধ্যে এই স্বাজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়। বাংলা নববর্ষ বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রধান উপাদান। এ উৎসবে প্রধান অনুষঙ্গ বৈশাখী মেলা। এছাড়া আমানি, রাজপুণ্যাহ, হালখাতা, গাজনের গান ইত্যাদি গ্রামীণ অনুষ্ঠান যা আগের দিনে মাস জুড়ে চলতো। হিজরি সনকে ভিত্তি করেই বাংলা সনের উৎপত্তি। মুঘল সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৫) আমলে বাংলার কৃষকদের সুবিধার্থে হিজরি সনকে ভিত্তি ধরে বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। ইংরেজ শাসনামল অবসানের পর কালক্রমে ‘নববর্ষ’ উদযাপন উৎসবে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও তৎপরবর্তীকালের ঘটনা বাংলা ‘নববর্ষ’ উদযাপনকে প্রাণবন্ত ও বিস্তৃত করেছে। বাংলা ‘নববর্ষ’কে কেন্দ্র করে পঞ্চগড় বোদায়,গ্রামগঞ্জে বৈশাখী মেলা বসে। কৃষিজ পণ্য, কুঠির শিল্প দ্রব্য, মৃৎ ও হস্তশিল্প দ্রব্য প্রয়োজনীয় ও অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, খেলনা ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের ধুম পড়ে মেলায়। দোকানীরা সারা বছরের বাকীর খাতা সমাপ্ত করার জন্য পহেলা বৈশাখের দিনে নতুন সাজে বসেন দোকানে। গ্রাহকদের মিষ্টিমুখ করিয়ে শুরু করেন নতুন বছরের ব্যবসার সূচনা। বোদা উপজেলা বটমুল চত্তরে আলোচনা সভায় বোদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনান মো.শাহরিযার নজির,বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.মোজাম্মেল হক,উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মকলেছার রহমান জিল্লু, বোদা পাইলট গালস্ স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক রবিউল আলম সাবুল, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল আলম লিটন ও বোদা পাইলট সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক জামিউল হক। রবিউল আলম সাবুল বলেন, পুরাতন স্মৃতি মুছে যাক, দূরে চলে যাক ভুলে যাওয়া দুর্বিষহ ঘটনা, অশ্রু ঝরার দিনও সুদূরে মিলাক।বাঙালির জীবন থেকে বিগত বছরের ব্যর্থতার গ্লানি ও জরা মুছে যাক, ঘুচে যাক। সবাইকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা।
আরও পড়ুন
গাইবান্ধার ৩টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
টঙ্গীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের স্মরণে দোয়া মাহফিল
টাঙ্গাইল নাগরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ৩ প্রার্থীকে প্রকাশ্যে সমর্থন, নাগরপুর ভোটের মাঠে তোলপাড়