নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আজ ৮ই ফেব্রুয়ারী’১৯, সকাল ১০.৩০ ঘটিকায়, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নিম্নতম মজুরীকে কেন্দ্র করে ঢালাও ভাবে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি এবং বে-আইনী ভাবে চাকুরিচ্যুতদের কাজে পুনঃবহাল করার দাবীতে মানব বন্ধন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মানব বন্ধন ও র্যালিতে সভাপতিত্ব করেন সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি জনাব নাজমা আক্তার। উপস্থিত ছিলেন ইন্ডাষ্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি) মহাসচিব জনাব সালাউদ্দিন স্বপন, বাংলাদেশ শ্রমিক সংহতি ফেডারেশনের সভাপতি জনাব রুহুল আমিন, ফেডারেশন অফ গার্মেন্টস ওয়ার্কারস এর সভাপতি জনাব চায়না রহমান, ইন্ডাষ্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি) নারী কমিটির সভাপতি জনাব সাফিয়া পারভীন। আরো উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক নাহিদুল হাসান নয়ন, কার্যকরি সভাপতি মমতাজ বেগম, সহ-সভাপতি খাদিজা আক্তার, মোঃ আনিসুর রহমান খাঁন, নাসির উদ্দিন, মামুনুর রশিদ, তোফায়েল হোসেন,ইমরান রহ্মান,হাবিবুর রহমান, ইসমেত জেরিন,আনিকা তাবাসসুম,সানজিদা পারভীন,সৈকত চৌধুরী, কাজী তানজির আহম্মেদ, আলমগীর হোসেন, বি এম হাকীম, ইয়াহিয়া খাঁন, তাসলিমা আফরোজাসহ বিভিন্ন কারখানার ভুক্ত ভোগি শ্রমিকগন।
সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি নাজমা আক্তার বলেন নিম্নতম মজুরীকে কেন্দ্র করে মালিকরা ঢালাও ভাবে গার্মেন্টস শ্রমিকদের নামে প্রায় ৩০টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে, মিথ্যা মামলায় প্রায় ১০০ জন শ্রমিককে গ্রেফতার করেছে, বে-আইনী ভাবে প্রায় ৭০০০ এর বেশী শ্রমিককে চাকুরিচ্যুত করেছে যাহা মানবাধিকার লংঘনের সামিল। পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা যখন ন্যায় সংগত মজুরীর কথা বলে বা বেঁচে থাকার মজুরীর কথা বলে তখনই তারা বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের স্বীকার হয়। নিম্নতম মজুরীকে কেন্দ্র করে যে সকল কারখানায় শ্রমিকরা ইউনিয়ন গঠনের জন্য সংগঠিত হচ্ছিল তাদের কে, এই মজুরী বিষয়ে জড়িত করে মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ও বে-আইনী ভাবে চাকুরিচ্যুত করেছে। এখানেই মালিকরা থামেনাই,তারা শ্রমিকদের বাসায় বাসায় মস্তান ও প্রসাশন দিয়ে তাদের ঘরছাড়া করছে, শ্রমিকদের ছবিসহ কালো তালিকা করে বিভিন্ন কারখানায় ও জনসমুহে প্রচার করেছে। এই অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার সময় এসেছে। আমি নিরীহ শ্রমিকদের বিরুদ্ধে হয়রানীসহ দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি এবং বে-আইনী ভাবে চাকুরিচ্যুতদের কাজে পুনঃবহাল করার জোর দাবী জানাই।
মজুরী বৃদ্ধির মাধ্যমে কারখানার খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে কিন্তু ক্রেতারা তাদের প্রাইজ বা রেট বৃদ্ধি করেন নাই, ক্রেতারা তাদের দায়িত্ব এরিয়ে যেতে পারেন না, শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের দায়িত্ব নিতে হবে। বাংলাদেশে যে সকল বায়ার বা ক্রেতা অর্ডার দেয় তাদের সকল কে পণ্যর দাম বা প্রাইজ বৃদ্ধি করার জন্য জোর দাবী জানাই।
সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর সাধারন সম্পাদক নাহিদুল হাসান নয়ন তার বক্তব্যে বলেন – শ্রমিক তার ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করবে এটাই তার অধিকার, শ্রমিক কোন অপরাধ করলে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে, কিন্তু এই মজুরীকে কেন্দ্র করে ঢালাও ভাবে গার্মেন্টস শ্রমিকদের উপর বে-আইনী কার্যক্রম করেছে। শ্রম আইন মেনে কোন শ্রমিকের উপর মালিকরা ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই। শ্রমিকদের কালো তালিকা করে বিভিন্ন কারখানায় ও পুলিশের কাছে দিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়া ও তারা যেন কোন কারখানায় যেন চাকরী না পায় সে ব্যবস্থাই করেছে। আমি জোরালো কন্ঠে বলতে চাই এই টালবাহানা না করে প্রচলিত আইন মেনে কারখানা পরিচালিত করতে হবে। শ্রমিকদের উপর সকল বে-আইনী কার্যক্রম বাতিল করে তাদের বকেয়া মজুরীসহ কাজে যোগদানের ব্যবস্থা করেতে হবে।