আওয়াজ অনলাইন : সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গুজব’ ছড়িয়ে যারা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে, সেসব ‘গুজব প্রচারকারীদের’ বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রাখবে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের একজন যুগ্ম আহ্বায়কসহ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আহমাদ হোসাইন (১৯), নাজমুস সাকিব (২৪) এবং ইডেন মহিলা কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী লু?ফুন নাহার ওরফে লুমা। তাঁদের মধ্যে লু?ফুনকে ঢাকা থেকে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের একটি দল ও স্থানীয় থানা-পুলিশ ‘যৌথ অভিযান’ চালিয়ে সিরাজগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে।
আগের রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের আবাসিক ছাত্রী শেখ তাসনিম আফরোজ ওরফে ইতিকে তুলে আনে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি।
পুলিশের সাম্প্রতিক এসক কর্মকাণ্ড নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা বলছিলেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। গুজব ঠেকাতে পুলিশের হাতে যতগুলো মেকানিজম আছে, তার সবটাই আমরা প্রয়োগ করছি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে যারা গুজব ছড়িয়েছে, তাদের আইনের আওতায় এনে আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সেল বিষয়টি সমন্বয়ের কাজ করছে। ভবিষ্যতেও রাষ্ট্রবিরোধী প্রচার বন্ধে এই সেল কাজ করবে।
গতকালই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। নিজস্ব ওয়েবপোর্টালে ঢাকা ডিএমপি বলেছে, শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুজন শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গড়ে ওঠা নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে সহিংস ঘটনা ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উস্কানির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন থানায় মোট ৫১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৯৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৬ জন। সিআইডি ফেসবুক পেজে উসকানিমূলক প্রপাগান্ডা ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে এমন মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য, পোস্ট, ফটো বা ভিডিওতে লাইক, শেয়ার ও কমেন্ট না করার অনুরোধ করেছে। /এইচ.