হোম » প্রধান সংবাদ » খাল সংস্কারে অনিয়মের খেসারত দিচ্ছে ৪ শতাধিক পরিবার

খাল সংস্কারে অনিয়মের খেসারত দিচ্ছে ৪ শতাধিক পরিবার

ইকবাল হোসেন জীবন,মিরসরাই প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৪ শতাধিক পরিবার। পানি নিষ্কাশন সমস্যার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই দুর্ভোগ পোহাতে হয় উপজেলার ওচমানপুর ইউনিয়নের বাঁশখালী গ্রামের বাসিন্দাদের। গত কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুম এলে কষ্টের শেষ থাকে না এখানকার মানুষের। পার্শ্ববর্তী জয়তারা খাল সংস্কারে অনিয়ম করায় এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,জলাবদ্ধতায় ভাসছে পুরো গ্রাম। কারও উঠানে পানি, কারও বাড়ির সামনের রাস্তা হাঁটু পানিতে ডুবে আছে। ফলে গ্রামের সবাই পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এলাকার প্রধান সড়েকের কোথাও কোথাও পানির তোড়ে ভেঙে গেছে।স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ মোস্তফা, গিয়াস উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন ও মাঈন উদ্দিন বলেন, কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে আমাদের এলাকা পানিতে ডুবে থাকে। আমরা সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের কাছে একাধিকবার আবেদন করার পরও তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে জয়তারা খাল সংস্কারের ব্যবস্থা করেন। খালের সংস্কার কাজ পায় ট্রাম ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
তারা অভিযোগ করেন, ঠিকাদার ইছাখালী অংশে সংস্কার করলেও ওছমানপুর অংশে খাল সংস্কার না করায় পরিস্থিতি আগের মত রয়ে গেছে। পানিবন্দি অবস্থায় দিন কাটছে প্রায় ৪ শতাধিক পরিবারের। রাস্তা, ঘাট, কবরস্থান পানিতে ডুবে আছে। এখানকার মানুষ স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছে না। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্ত পেতে সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান তারা।গৃহবধূ হামেলা খাতুন বলেন, বর্ষা মৌসুম এলে আমাদের কষ্টের সীমা থাকে না। ঠিকমত রান্না-বান্না করতে পারি না। বাড়ি ঘর পানিতে ডুবে থাকে। আমাদের করুণ অবস্থা, দেখার কেউ নেই।
এ বিষয়ে ওচমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক বলেন, বাঁশখালী এলাকার মানুষকে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি দিতে আমাদের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নির্দেশে খাল সংস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার নিজের মত করে কাজ করেছে। যে অংশে খাল চওড়া ওই অংশে সংস্কার করা হয়েছে, সংকুচিত ওই অংশে সংস্কার কাজ করেনি। এই ব্যাপারে ঠিকাদারকে একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু নানা অজুহাত দেখিয়ে তিনি কাজ করছেন না। আমি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ট্রাম ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি মোহাম্মদ মুরাদের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে কল দিয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ওচমানপুরের বাঁশখালী এলাকার জলাবদ্ধতার বিষয়টি কেউ আমাকে জানাননি। এখন আমি খোঁজখবর নিচ্ছি। খাল সংস্কারের বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তারপরও আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো।
error: Content is protected !!