হোম » প্রধান সংবাদ » সিরাজগঞ্জে আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

সিরাজগঞ্জে আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু

হুমায়ুন কবির সুমন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা এনামুল হক বিজয় নয়দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর মারা গেছেন। (ইন্না লিলাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)

 

রোববার (৫জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এনামুল হক বিজয় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও জামতৈল সরকারি হাজী কোরপ আলী ডিগ্রি কলেজ শাখার সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনি কামারখন্দ উপজেলার চালা শাহবাজপুর এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে। বিজয়ের বড় ভাই মো. রুবেল বলেন, দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসকরা বিজয়কে মৃত্যু ঘোষণা করেন। তার মরদেহ গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রউনা হয়েছে সন্ধার মধ্যে পৌছে যাবো। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ রেজা পাভেল জানান, ছাত্রনেতা এনামুল হক বিজয়কে কে বা কারা কেন হত্যা করেছে এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।

উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন শেখ জানান, কামারখন্দে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোন দলীয় কোন্দল নেই। কে বা কারা ছাত্রনেতা বিজয়কে হত্যা করেছে সেটাও আমার জানা নেই। গত ২৬ জুন বিকেলে সিরাজগঞ্জে বর্ষীয়ান জাতীয় নেতা সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে জেলা ছাত্রলীগ। ওই অনুষ্ঠানে আসার পথে জেলা শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় বিজয়ের ওপর হামলা চালিয়ে মাথায় কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ। তাকে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরদিন ২৭ জুন ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখানেই আইসিইউতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ৯ দিন লাইভ সাপোর্টে থাকার পর রোববার তার মৃত্যু হয়। ওই হামলার ঘটনায় বিজয়ের বড় ভাই রুবেল বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদকসহ সংগঠনের পাঁচ নেতা-কর্মীর নাম উলে­খসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এরই মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা আশিকুর রহমান বিজয়, জাহিদুল ইসলাম ও সাগর কারাগারে রয়েছেন।

 

জামিনে মুক্ত রয়েছেন আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন। গত ২৮ জুন মামলার দুই আসামি জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহরের সয়াগোবিন্দ ভাঙ্গাবাড়ী মহল­ার আল-আমিন ও আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহরের দিয়ারধানগড়া মহল­ার শিহাব আহমেদ জিহাদকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। অপরদিকে, ছাত্রলীগ নেতা এনামুলের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে জেলা সদরে ও কামারখন্দ দলীয় নেতা- কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। জেলা আওয়ামলীগের কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের একটি অংশ বিক্ষেভ সমাবেশ করেন।

 

আর এই কারণে বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মতায়ন করা হয়েছিল। সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, গত ২৬ জুন হামলার ঘটনার পর থেকেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

যা বিদ্যমান রয়েছে। কামারখন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, এনামুল হক বিজয়ের
মৃত্যুকে কেন্দ্র করে যেন কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মৃত এনামুলের লাশ ঢাকা থেকে কামারখন্দ এসে এখনো পৌছায়নি পৌছানোর পর পারিবারিক ভাবে দাফন করা হবে পরিবার থেকে জানিয়েছে।

error: Content is protected !!